Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

টিআর
নারী অথবা পুরুষ হচ্ছে কোনও ব্যক্তির লিঙ্গগত পরিচয়। মানুষ হচ্ছে তার সর্বজনীন পরিচয়। তাই নারীকে নারী হিসেবে নয়, ভাবতে হবে একজন মানুষ হিসেবে। দিতে হবে সমান মর্যাদা, কাজের সমান অধিকার। এই প্রেক্ষাপটে নারীদের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নয়নে বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার, সবক্ষেত্রে সমান সুযোগ এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠি, জন্মস্থান ও নারী-পুরুষ ভেদে বৈষম্য তৈরী না-করার বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের নারীরা শুধু “নারী” নয়, তাদের সর্বজনীন পরিচয় হচ্ছে ‘‘মানুষ’’ হিসেবে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালে নির্যাতিত ও অবহেলিত নারী সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে ঘোষণা করে ‘‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি’’, যার ভিত্তিতে তৈরি করা হয় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা। জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আলোকে প্রতিটি মন্ত্রণালয় সংস্থাভিত্তিক এলাকা চিহ্নিত করে তৈরি করে নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা। স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এলজিইডিতে তৈরী করা হয় জেন্ডার সমতা কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা। গ্রাম ও নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য কাজের সুযোগ তৈরী করে বাংলাদেশ সরকারের দারিদ্র্য হ্রাসকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং জেন্ডারকে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসাই এর মূখ্য উদ্দেশ্য। গঠন করা হয় জেন্ডার ও উন্নয়ন ফোরাম। আর এভাবেই জেন্ডার বিষয়টিকে এলজিইডিতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয়। জেন্ডার ও উন্নয়নে এলজিইডি ১৯৮৪ সালে পল্লীপূর্ত কর্মসূচি থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ব্যুরো (এলজিইবি) আত্মপ্রকাশ করে। এরপরে ১৯৯২ সালে সৃষ্টি হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বা এলজিইডি। শুরুতে এলজিইডির কার্যক্রম গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পর্যায়ক্রমে তা বিস্তৃত হয় নগর উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে। এভাবে তিনটি সেক্টরের মাধ্যমে দেশের স্থানীয় পর্যায়ের অবকাঠামো বিনির্মাণে ভূমিকা রেখে চলেছে এলজিইডি। এলজিইবি হিসেবে উন্মেষের পর থেকেই উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে উদ্যোগী হয় সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। অবকাঠামো উন্নয়নের তিনটি সেক্টরেই যা আজ বি¯তৃত হয়েছে। জেন্ডার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে এলজিইডি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পুরুষের সঙ্গে একই সারিতে নারীদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি, আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে মহিলাদের স্বাবলম্বী করা এবং নারীর ক্ষমতায়নে নেয়া নানামুখী পদক্ষেপÑ এসব কার্যক্রমকে টিকিয়ে রাখতে এলজিইডি সচেষ্ট হয়েছে জেন্ডার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে। আর এ-লক্ষ্যে ২০০০ সালে তৈরী করা হয় জেন্ডার উন্নয়ন ফোরাম। এলজিইডির প্রকল্পগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে জেন্ডারকে মূলধারায় আনতে, বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং জেন্ডার সংক্রান্ত নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন ও এসব বিষয়ে শুদ্ধ চর্চার জন্য একটি প্লাটফরম তৈরীর উদ্দেশ্যে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে গঠিত হয় এই ফোরাম। সাধারণভাবে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যে কোনও সময় বৈঠকে বসতে পারে। এলজিইডির জেন্ডার সমতা কৌশল বাস্তবায়ন অগ্রগতি